সোমবার সারাদিন যা যা হলো
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি চুক্তি হলে সেটা কার্যকরের বিষয়টি নিশ্চিত করবে যুক্তরাষ্ট্র। এই বৈঠক ঘিরে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন ইউরোপের শীর্ষ নেতারাও।
ইউক্রেন ইস্যুতে বৈঠক করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
হোয়াইট হাউজে স্থানীয় সময় দুপুর একটা ( বাংলাদেশ সময় রাত ১১টার দিকে) এই বৈঠকটি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠকটি চলছিল।
বৈঠকের আগে ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধে অনেক অগ্রগতি হচ্ছে।
তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি চুক্তি হলে সেটা কার্যকর করার বিষয়টি নিশ্চিত করবে যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে জেলেনস্কি মন্তব্য করেছেন, কূটনৈতিকভাবে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনায় ইউক্রেনের সমর্থন আছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে এই আলোচনায় অংশ নিতে ইউরোপীয় নেতারাও ওয়াশিংটনে এসেছেন। ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স ও ফিনল্যান্ড. ইইউ ও নেটোর শীর্ষ নেতাদেরও ওয়াশিংটনের আলোচনায় যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। তাদের অংশগ্রহণকে ইউক্রেনের পক্ষে জোরালো সমর্থন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে যখন এই আলোচনা চলছে, তখন মস্কো এক ঘোষণায় বলেছে, শান্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনে নেটোর কোনো উপস্থিতি তারা মানবে না।
২০২৫ওয়াশিংটনে বৈঠকের জন্য আসতে শুরু করেছেন ইউরোপিয়ান নেতারা
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও নেটোর নেতাদের সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্প আর ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে হোয়াইট হাউজে বৈঠকের আগে ওয়াশিংটনে পৌঁছাতে শুরু করেছে ইউরোপিয়ান নেতারা।
এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন।
ইতালি, জার্মানি, ফ্রান্স ও ফিনল্যান্ডের শীর্ষ নেতাদেরও এই বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।
হোয়াইট হাউজের ওয়েস্ট উইংয়ে হতে যাওয়া এই বৈঠকের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করেছেন যে, “আমরা এর আগে কখনো একসাথে এতজন ইউরোপিয়ান নেতাকে একসাথে পাইনি। আমেরিকার জন্য এটি বিশাল সম্মানের বিষয়। দেখা যাক ফলাফল কী দাঁড়ায়।”
যুক্তরাষ্ট্র সময় দুপুর একটায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা) দিকে শুরু হতে যাওয়া ঐ বৈঠকের আগে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশন প্রেসিডেন্টের সাথে ভলোদিমির জেলেনস্কি ‘প্রস্তুতিমূলক বৈঠক’ করছেন বলেও জানা যাচ্ছে।
ওয়াশিংটনে যখন এই বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে তখন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার কূটনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। এরই মধ্যে তিনি ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে এই সময়ে ইউক্রেনের কয়কেটি জায়গায় রাশিয়ার হামলায় অন্তত সাতজন মারা গেছে বলেও জানা যাচ্ছে।
No Comments Yet...